শেখ খায়রুল ইসলাম, পাইকগাছা খুলনা প্রতিনিধিঃ
শনিবার দক্ষিণ খুলনার তীর্থভূমী বলে খ্যাত পাইকগাছা উপজেলার কপিলমুনি পাবলিক লাইব্রেরীর আবারও আলো ছড়াতে ভবনের পুনঃ নির্মাণ উদ্ধোধন করেন উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা এবিএম খালিদ হোসেন সিদ্দিকী। এসময় উপস্থিত ছিলেন কপিলমুনি কলেজের অধ্যক্ষ হাবিবুল্লাহ বাহার, কপিলমুনি গার্লস স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা রহিমা আক্তার শম্পা, প্রভাষক তাপস সাধু, কপিলমুনি প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি, অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক ও কলামিস্ট মহাদেব চন্দ্র সাধু,
প্রেসক্লাবের সভাপতি শেখ সামসুল আলম পিন্টু, যুবলীগ নেতা আনন্দ মোহন বিশ্বাস, প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি মুন্সি রেজাউল করিম মহব্বত, সাবেক সাধারণ সম্পাদক এস এম আব্দুর রহমান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক জি এম আসলাম হোসেন, পাইকগাছা সাংবাদিক জোটের সাধারণ সম্পাদক শেখ সেকেন্দার আলী, সাংবাদিক জি এম মোস্তাক আহমেদ সাংবাদিক শেখ খায়রুল ইসলাম সাংবাদিক ডা আব্দুর সবুর আল আমিনসহ বিভিন্ন শ্রেনীর পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
আলোকিত খাঁটি মানুষ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে জ্ঞানপিপাসু সংস্কৃতি মানুষের নিরলস অক্লান্ত পরিশ্রমে ২০০৩ সালে যাত্রা শুরু করে প্রতিষ্ঠানটি। কিন্তু জরাজীর্ণ অবস্থায় দীর্ঘদিন থাকার ফলে ময়লার স্তুপে পরিণত হয় লাইব্রেরীটি। ভবনটি পুনঃনির্মাণে সাংবাদিক এস এম আব্দুর রহমান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবিএম খালিদ হোসেন সিদ্দিকীর সহযোগিতা চাইলে সাড়া দিয়ে প্রথমে ৬৫ হাজার টাকা ও ৪০ পিচ টিন প্রদান করেন তিনি। এছাড়াও বিভিন্ন লেখকের মুল্যবান বই প্রদান করেন। ভবন উদ্বোধন শেষে নির্বাহী কর্মকর্তা এবিএম খালিদ হোসেন সিদ্দিকী বলেন, জ্ঞানার্জন আর মননশীল চর্চার আলোক শিখা প্রজ্ঞলনে লাইব্রেরীর বিকল্প নেই। আমি যেখানেই থাকি না কেন সব সময় সহযোগিতা থাকবে।
উল্লেখ্য ২০০৩ সালে ২২ আগষ্ট জ্ঞানার্জন আর মননশীল চর্চার আলোক শিখা প্রজ্ঞলনে কপিলমুনি পাবলিক লাইব্রেরী প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেওয়া হয়। তৎকালীন পাইকগাছা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ডঃ এএফএম মনজুর কাদির এ প্রতিষ্ঠানটির শীলান্যাস করেন। তার সাহসী অভিযাত্রায় এলাকার ১৬জন বিশিষ্ট ব্যক্তির সমন্বয় গঠিত হয় ‘কপিলমুনি পাবলিক লাইব্রেরী’র প্রথম আহবায়ক কমিটি ও গঠনতন্ত্র প্রনয়ন সাব-কমিটি। সুনির্দিষ্ট নীতিমালার ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠানটির অগ্রযাত্রার দিক নির্দেশনায় গঠনতন্ত্র প্রনয়নে সাব-কমিটি আন্তরিক সহযোগীতা করেন। যার ফলশ্রুতিতে গত ইং ২৯ সেপ্টেম্বর-২০০৩ উপস্থিতিতে খসড়া গঠনতন্ত্র আহবায়ক কমিটির সকল সদস্যদের বুদ্ধি দীপ্ত পরামর্শের মধ্যদিয়ে চুড়ান্ত গঠনতন্ত্র করা হয়। অত্র প্রতিষ্ঠানের প্রাবন্তিক সহযোগিতা ও মতামতের প্রতি কৃতজ্ঞতা স্বীকার করে ২০অক্টোবর ২০০৩ সালে ভিত্তি প্রস্থর স্থাপনের মাধ্যমে লাইব্রেরীর যাত্রা শুরু হয়। পরিচালনা পরিষদের মেয়াদ দীর্ঘ প্রায় অর্ধযুগ আগে উত্তীর্ণ হয়েছে। ২০অক্টোবর ’০৩সালে লাইব্রেরী যাত্রা শুরু করে আহবায়ক কমিটি ২২ আগষ্ট ২০০৩সাল পর্যন্ত প্রতিষ্ঠনটি পরচালনা করেন। ২৭সদস্য নিয়ে ১মে ’০৪ প্রথম কার্যকরী পরিষদ গঠন হয়। ২০০৭সালে ২৬ অক্টোবর দ্বিতীয় কার্যকরী পরিষদ গঠন করা হয়। গঠনতন্ত্র মতে কার্যকরী পরিষদের মেয়াদ কাল ৩ বছর।
তার পর থেকে আজও কমিটি গঠন করা হয়নি। নতুন করে আবার আলো ছড়াতে কপিলমুনি পাবলিক লাইব্রেরীর ভবনের পুনঃ নির্মাণ কাজ দ্রুত শেষে আলো ছড়াবে বলে আশাবাদী সর্বস্তরের জনগণ।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।